মানিকগঞ্জ ও কুষ্টিয়াতে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট।
মানিকগঞ্জ ও কুষ্টিয়াতে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট। এবার হাটে ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশীয় গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। হাটগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর পাড়ের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রলারে করে এখানে কোরবানির পশু নিয়ে আসেন খামারিরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কেনা-বেচা। তবে এখনও ক্রেতা সমাগম হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হৃষ্টপুষ্ট করা গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে ভিড় করছেন খামারি ও ব্যাপারিরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গরুর দাম বেশি রাখার। আর বিক্রেতারা বলছেন, দাম সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে।
হাটগুলোতে জাল নোট শনাক্তে মেশিন বসানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান।
এবার কুষ্টিয়ায় ৯১ হাজার গরু ও ৬৭ হাজার ছাগল দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করেছেন ২০ হাজার খামারি। আর পশুর হাট বসেছে ৩৯টি।
মৌলভীবাজার: এছাড়া কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলার দেড়শ' খামারে গরু লালন-পালন করেছেন খামারিরা। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করেছেন তারা। সেই সাথে নিরাপদ মাংস উৎপাদনে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন মৌলভীবাজার সদর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আ'জ'ম সালাহ উদ্দিন।
প্রণিসম্পদ বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে কোরবানির জন্য ৬ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে প্রায় ৯ হাজার ছাগল-গরু লালন-পালন করেছেন খামারিরা।